প্রত্যয় নিউজডেস্ক: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক হাজার ১৩৪ জন মুক্তিযোদ্ধার গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার। এ মধ্যে ১৯১ জনের ক্ষেত্রে এ বাতিল স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া বিমানবাহিনীর ৪৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর গেজেট বাতিলের প্রজ্ঞাপনেও একজনের ক্ষেত্রে স্থগিত করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত পৃথক পৃথক রিট আবেদন শুনানি নিয়ে সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল কাইয়ূম।
পরে ব্যারিস্টার মো. আব্দুল কাইয়ূম জানান, গেজেট বাতিল আইনানুগ না হওয়ায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা রিট করেছেন। আজ আদালত পৃথক রিটের শুনানি নিয়ে বিজিবি ও বিমানবাহিনীর ১৯২ জনের ক্ষেত্রে গেজেটটি স্থগিত করে রুল জারি করেছেন। এছাড়া তাদের ভাতাও দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, ১৯২ জনের মধ্যে ১৬০ জন আগে রিট করেছিলেন। তখন ভার্চুয়াল কোর্ট নিয়মিত আদালত না খোলা পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। এখন নিয়মিত আদালত চালু হওয়ার তাদের রিট উপস্থাপন করা হলে আদালত সনদ বাতিলের গেজেটের ওপর স্থগিতাদেশ, ভাতা দিতে নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন। আর নতুন করে বাকি ৩২ জন রিট করেন। তাদের ক্ষেত্রেও একই আদেশ দিয়েছেন। মোট ১৯২ জনের মধ্যে একজন বিমানবাহিনীর। বাকি সবাই বিজিবির।
৭ জুন এক হাজার ১৩৪ জন বিজিবি সদস্যের গেজেট বাতিল করে সরকার। ওই গেজেটে বলা হয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০০২ এর ৭ (ঝ) ধারা অনুযায়ী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে রুলস অব বিজনেস ১৯৯৬-এর শিডিউল-১ এর তালিকা ৪১-এর ৫ নম্বর ক্রমিকে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জামুকার ৬৬তম সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাধীনতা যুদ্ধের পর (১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালের) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশে যোগদানকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের এক হাজার ১৩৪ জনের নামে প্রকাশিত গেজেট বাতিল করা হলো।
একই দিন বিমানবাহিনীর ৪৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর মুক্তিযোদ্ধা গেজেট বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। পরে সংক্ষুব্ধ হয়ে ১৯২ জন হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।